হজ্জ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ এবং এটি প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য জীবনে অন্তত একবার পালন করা ফরজ। নিচে হজ্জের নিয়ম-কানুন ধাপে ধাপে দেওয়া হলো:
হজ্জের নিয়ম-কানুন (ধাপে ধাপে)
১. নিয়ত ও ইহরাম বাঁধা
- হজ্জের জন্য নিয়ত করতে হয়।
- ইহরাম হল একটি নির্দিষ্ট পোশাক (পুরুষদের জন্য দুটি সাদা কাপড়, নারীদের জন্য সাধারণ ইসলামিক পোশাক)।
- ইহরাম বাঁধার পর থেকে কিছু নির্দিষ্ট কাজ হারাম হয়ে যায়, যেমন: চুল-নখ কাটা, সুগন্ধি ব্যবহার, যৌন সম্পর্ক ইত্যাদি।
- ইহরাম অবস্থায় “লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক…” তলবিয়া পাঠ করা হয়।
২. মক্কায় আগমন ও তাওয়াফ
- কাবা শরিফে গিয়ে তাওয়াফ করতে হয় (৭ বার ঘোরা)।
- এরপর সাই করা হয় (সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝে ৭ বার চলাফেরা)।
৩. মিনায় গমন (৮ জিলহজ্জ)
- মক্কা থেকে মিনায় যাওয়া হয় এবং সেখানে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয়।
৪. আরাফাতের ময়দানে অবস্থান (৯ জিলহজ্জ)
- এটি হজ্জের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে জোহর ও আসর নামাজ একসঙ্গে আদায় করা হয়।
- সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতে হয়।
- দোয়া ও ইবাদতে সময় কাটানো হয়।
৫. মুযদালিফায় রাত যাপন
- সূর্যাস্তের পর আরাফাত থেকে মুযদালিফায় যাওয়া হয়।
- সেখানে মাগরিব ও ঈশা একসঙ্গে আদায় করা হয়।
- রাতটি সেখানেই কাটাতে হয় এবং পাথর সংগ্রহ করা হয় (শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য)।
৬. জামারাতে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ (১০ জিলহজ্জ)
- বড় জামারায় ৭টি পাথর নিক্ষেপ করা হয়।
- এরপর কোরবানি দেওয়া হয়।
- পুরুষেরা মাথা মুন্ডন করেন (হালক) বা ছোট করেন, নারীরা সামান্য চুল কাটেন।
৭. আবার তাওয়াফ (তাওয়াফ-ই-যিয়ারাহ)
- কোরবানি ও চুল কাটা শেষ হলে কাবা শরিফে গিয়ে আবার ৭ বার তাওয়াফ করা হয়।
৮. মিনায় অবস্থান (১১, ১২, ও ১৩ জিলহজ্জ)
- প্রতিদিন তিনটি জামারায় (ছোট, মাঝারি, বড়) ৭টি করে পাথর নিক্ষেপ করা হয়।
- ১২ তারিখের পরে মিনা ত্যাগ করা যায়, তবে কেউ চাইলে ১৩ তারিখ পর্যন্ত থাকতে পারে।
৯. বিদায়ী তাওয়াফ (তাওয়াফ-উল-ওদা)
- মক্কা ছাড়ার পূর্বে বিদায়ী তাওয়াফ করা হয় (এটি ফরজ)। আরও পড়ুন