ভাঙ্গা ঘড়ি

একটি ভাঙ্গা ঘড়ি দেয়ালের কোণে ঝুলে আছে—নির্জন, নীরব, সময়হীন। তার কাঁটাগুলো থেমে আছে এক স্থির মুহূর্তে, যেন কোনো এক ব্যস্ত সময়ের মাঝখানে হঠাৎ থেমে গেছে জীবন। ঘড়িটি আর সময় বলে না, কিন্তু সে নিজেই হয়ে উঠেছে এক সময়ের প্রতীক—এক অতীতের নিঃশব্দ সাক্ষী। একসময় হয়তো এই ঘড়ির টিকটিক শব্দে ভরপুর ছিল ঘরটা। মানুষ আসত-যেত, জীবন চলত তার নিজস্ব গতিতে। কিন্তু এখন? এখন এই ভাঙ্গা ঘড়ি শুধু স্মরণ করিয়ে দেয়—সময় কখনো চলে যায়, আবার কখনো আটকে যায় কোনো বিশেষ মুহূর্তে, যেটা আর ফিরে আসে না। এই ঘড়ি কেবল একটি যন্ত্র নয়, এটি হয়ে উঠেছে বিস্মৃতির এক নিঃশব্দ প্রতীক। ভাঙ্গা হলেও তার রয়েছে এক নিজস্ব ভাষা, এক নিঃশব্দ গল্প—যা বলে দেয়, সব কিছুই একদিন থেমে যায়। প্রশ্ন হলো, আমরা কি সেই থেমে যাওয়া সময়কে দেখতে পাই?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal